সরিষার তেল বাঙ্গালীর রসনা বিলাসের এক অন্যতম উপকরণ, সর্ষে ইলিশ হোক বা তেহারি, খিচুরী অথবা বাহারি সব ভর্তা, এই তেলের মনমাতানো ঘ্রাণ ছাড়া যেনো মুখে রুচিই আসে না। সরিষার তেল শুধু খাওয়ার জন্যই নয়, চুল ও ত্বকের যত্নেও কাজে লাগে।
সরিষার তেল হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে এবং মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে।
সরিষার তেলে থাকা প্রদাহ বিরোধী (Anti-inflammatory) উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর ব্যথা, অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস (বাত) এবং রিউম্যাটিক এর ব্যথাও দূর করে।
সরিষার তেল এক ধরণের ডিকঞ্জেস্টেন্ট বা শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক। এই তেলের সাথে রসুন মিশিয়ে বুকে ও পিঠে লাগালে কফজনিত সমস্যার সমাধান হয়।
এই তেলে থাকা গ্লুকোসিনোলেট (Glucosinolate) নামক উপাদান মলাশয় ক্যান্সার এবং অন্ত্রের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
সরিষার তেলে থাকা মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ভাল কোলেস্টেরল বৃদ্ধি ক’রে হৃদরোগের ঝুঁকি ৭০% কমিয়ে আনতে পারে।
এজমা এটাক (Asthma attack) হলে সরিষার তেল বুকে ঘষলে শ্বাস নেয়ার ক্ষমতা বেড়ে যায়। সবসময় এর ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
মেয়েদের মাসিকের ব্যথা এবং গ্যাস ও বদহজম জনিত পেটের ব্যথায় সরিষার তেল পেটে মালিশ করলে সুফল পাওয়া যায়।
শীতের সময় এই তেল ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং শরীর গরম থাকে। এই তেলের ব্যাক্টেরিয়া এবং ফাঙ্গাস বিরোধী গুণাগুণ ত্বক ও চুলকে উজ্জ্বল করে তুলে। এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক কখনই কালো হয় না বরং ত্বকের টোনের উন্নতি হয়।
রিবোফ্ল্যাভিন (Riboflavin) ও নায়াসিন (Niacin) সমৃদ্ধ সরিষার তেল শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আমাদের থেকে কেন কিনবেন
দেশি সরিষা বীজ থেকে তেল ভাঙানো হয়।
সরিষা বীজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে তেল নিষ্কাষণ এবং প্যাকেজিং পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করা হয়।
স্পেলারের তেল না দিয়ে এক পেষণের তেল সরবরাহ করা হয়। স্পেলার এর তেল হচ্ছে একবার তেল নিষ্কাষনের পর পুনরায় ঐ খৈল থেকে নিষ্কাষিত তেল।
কোন ধরনের আর্টিফিসিয়াল রিফাইনিং করা হয় না। বরং পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নেওয়া হয়।
রাই সরিষার সংমিশ্রণ না ঘটিয়ে শুধুমাত্র দেশি সরিষা বীজ ব্যবহার করা হয়।
লোহা এবং তেতুঁল কাঠের সমন্বয়ে বানানো ঘানিতে এই তেল ভাঙানো হয়।
প্যাকেজিং এর তারিখ হতে এক বছর সময়কাল এই সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে।